অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস ( Ankylosing spondylitis ) হলো মেরুদণ্ডের ইনফ্লামেটরি ডিজিজ । এটি মেরুদন্ডের দীর্ঘমেয়াদী যন্ত্রণাদায়ক বাত ব্যাধি, যার প্রধান উপসর্গ মেরুদণ্ডের সন্ধি বা গাঁটের ব্যথা ও আড়ষ্টতা।
অ্যানকাইলোজিং শব্দের অর্থ শক্ত এবং স্পন্ডিলাইটিস বলতে বোঝায় মেরুদণ্ডের জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ। এটি একটি বিশেষ ধরণের বাত রোগ। ৩৩ টি অস্থিখণ্ড নিয়ে মেরুদণ্ড গঠিত। প্রত্যেকটি অস্থিখণ্ডকে কশেরুকা বা ভার্টিব্রা (Vertebrae) বলে। আন্তঃকশেরুকীয় চাকতির সাহায্যে প্রত্যেকটি ভার্টিব্রা একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। কিন্তু মেরুদণ্ডে ইনফ্লামেশনের কারণে প্রত্যেকটি ভার্টিব্রা একে অপরের সাথে লেগে বা আটকে যায়, যা পাঁজরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এই অবস্থায়ে একজন ব্যক্তি সামনে, পিছনে, ডানে, বায়ে নড়াচড়া করতে পারে না। যার জন্য একে বলে অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস। এতে প্রধানত সেক্রো-ইলিয়াক জয়েন্ট ও সংলগ্ন লিগামেন্টে আক্রান্ত হয় এবং ক্রমান্বয়ে হাড়গুলো জোড়া লেগে যায়। ফলে আক্রান্ত সন্ধিসমূহের নড়ন ক্ষমতা হ্রাস পায়। মেরুদণ্ডের সন্ধিগুলো একটার সাথে আরেকটা লেগে গিয়ে (ফিউজড) পুরো মেরুদণ্ডের এক সময় বাঁকানোর ক্ষমতা থাকে না। তখন একে Bamboo spine বলে।
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস একটি সেরোনেগেটিভ ইনফ্লামেটরি ডিজিজ। সেরোনেগেটিভ স্পন্ডাইলো-আর্থ্রোপ্যাথী (Seronegative spondyloarthropathy) বাত রোগসমূহের এক শ্রেণীর নাম। ৮ থেকে ১০টি বাত রোগ এই শ্রেণীর মধ্যে পড়ে। এই রোগগুলোতে মেরুদণ্ডের সাথে অস্থিসন্ধি এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়ে থাকে। অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত একটি ব্যাধি।
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস কেন হয়?
এ রোগের সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বংশানুগতিক কারণের সাথে এটি নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ২০-২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে জেনেটিক কারণে বা বংশপরম্পরায় এ রোগটি হয়। যারা এ রোগে আক্রান্ত হন তাদের প্রায়ই বংশগত নির্দেশক HLA-B27 নামক মলিকিউল বহন করেন। ইনফেকশনের কারণেও এটি হতে পারে। ইনফেকশনকে প্রতিরোধ করার জন্য দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিছু রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন করে যার প্রভাবে মেরুদণ্ডে প্রদাহের সৃষ্টি হয়।
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস এর লক্ষণসমূহ
- রোগী সাধারণত সকালে পিঠ শক্ত হওয়া ও পিঠ ব্যথার অভিযোগ নিয়ে আসেন। ব্যথা শুরু হয় কোমরের দু’দিকের অস্থিসন্ধি বা স্যাক্রো-ইলিয়াক জয়েন্টে এবং ধীরে ধীরে তা সারা পিঠে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ব্যথা হিপজয়েন্ট ও হিপে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাথা শরীরের নিম্নাংশে ছড়িয়ে পড়ে, পায়ে এবং হাঁটুতে ব্যাথা হয়।
- রোগীর হাঁটতে সমস্যা হয়।
- ঘুমের সময় বিছানায় এপাশ-ওপাশ করে। রাতে ব্যথা বেড়ে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে ওঠার পর কোমর অনড় হয়ে জমে থাকে। বেলা বাড়া ও হাঁটাচলা শুরু করলে ব্যথা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। বিশ্রাম নিলে ব্যথা বাড়ে আবার কাজকর্ম শুরু করলে ব্যথা কমতে থাকে। রোগীর মেরুদণ্ডের নড়নক্ষমতা হ্রাস পায়, আশপাশের কাউকে দেখতে হলে শরীরটাকে সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দেখতে হয়।
- রোগীর জ্বর হতে পারে এবং বুকের প্রসারণ কমে যেতে থাকে। অল্পবয়সী রোগীর বুকের প্রসারণ কমপক্ষে সাত সেন্টিমিটার কমে যায়। পাঁজরের হাড়ে ব্যথা হয়। মেরুদণ্ড শক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে মেরুদণ্ডে বাঁক ধরতে শুরু করে। কোনো কোনো রোগীর মেরুদণ্ড ধনুকের মতো বেঁকে যায় এবং এর ফলে রোগী সোজা হয়ে শুতে পারেন না, তাকে পাশ ফিরে শুতে হয়।
- কিছু কিছু রোগীর সাধারণ অবসন্নতা থাকে, শরীরের অস্বাভাবিক অনুভূতি হয় এবং ওজন কমে যায়। প্রায় ২৫ শতাংশ রোগীর চোখে প্রদাহ হয়।
- অনেক রোগীর শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। ক্ষুধামন্দা হয় এবং রোগী শারীরিক ভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েন।
- প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রোগীর প্রান্তিক অস্থিসন্ধিগুলো (সাধারণত কাঁধ, হিপ এবং হাঁটু) সম্পৃক্ত হয়, এগুলোতে ইনফ্লামেটরি আর্থ্রাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন ফুলে যাওয়া, চাপ দিলে ব্যথা অনুভূত হওয়া, পানি জমা এবং নড়াচড়া করার ক্ষমতা লোপ পাওয়া।
- বড় অস্থিসন্ধি সন্নিবিষ্ট লিগামেন্ট ও টেনডনে কিংবা গোড়ালির নিচে চাপ দিলে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এ রোগের ফলে রোগীর দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরায় ও কাজকর্মে অনেক ব্যাঘাত ঘটে।
এ রোগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় কি হতে পারে?
মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি (অনুপাত হলো ২:১) । বয়ঃসন্ধিকালের শেষদিকে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সচরাচর ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগের একটি প্রধান কারণ বংশগত। যে সকল ব্যক্তির কোষে HLA B27 নামক মলিকিউল থাকে, তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস নির্ণয়ের পরীক্ষা?
ল্যাব টেস্ট : রক্তের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে সমস্যা ধরা পড়ে। যেমন : সিবিসি, ইএসআর, সিআরপি, HLA-B27 ইত্যাদি।
ইমেজিং : মেরুদণ্ডের দুই পাশে দুই জয়েন্টের এক্স-রে, যাকে বলে স্যাক্রো ইলিয়াক (এসআই) জয়েন্ট। ক্ষেত্রবিশেষে হাড়ের সফট টিস্যুগুলোতে বিশেষ চিহ্ন বা লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয়ের জন্য এসআই জয়েন্টে সিটি স্ক্যান, এমআরআই করানো হতে পারে।
আলট্রাসাউন্ড : কারো অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস হয়েছে কি না, তা মাস্কুলোস্কেলেটাল আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষাটি করে নিশ্চিত হওয়া যায়।
বিশেষ পরীক্ষাঃ
সোবার টেস্ট (Schober Test) : অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস নির্ণয়ের একটি বিশেষ পরীক্ষা হচ্ছে সোবার টেস্ট।
রোগীর অবস্থান: রোগী সোজা হয়ে থাকবেন।
পরীক্ষকের অবস্থান: পরীক্ষক রোগীর ঠিক পিছনে দাড়াবেন।
পদ্ধতি: প্রথমে পরীক্ষক রোগীর মেরুদণ্ডের লাম্বার ও সেক্রাম সংযোগ (লাম্বোসেক্রাম) এ একটি পয়েন্ট করে নিবেন। এরপর পয়েন্ট থেকে ৫সেমি নিচে এবং ১০সেমি উপরে পরিমাপক ফিতার সাহায্যে আরো ২টি পয়েন্ট নিতে হবে। রোগীকে সামনের দিকে ঝুঁকতে বলতে হবে। এরপর পরিমাপক ফিতা দিয়ে উপরের ১০সেমি থেকে নিচের ৫সেমি পর্যন্ত আবারো মেপে নিতে হবে। যদি মাপটি ২০সেমি এর কম হয় তাহলে রোগীর অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। কারণ, শরীর সামনের দিকে ঝুঁকলে মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধির মাঝে কিছুটা স্পেস সৃষ্টি হয়। কিন্তু অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস রোগীদের মেরুদণ্ডের সন্ধিগুলো একটার সাথে আরেকটা লেগে গিয়ে শক্ত হয়ে যায়। ফলে মেরুদণ্ডের এক সময় বাঁকানোর ক্ষমতা থাকে না। তখন একে বংশ মেরু (Bamboo spine) অভিহিত করা হয়।
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা
মেডিক্যাল চিকিৎসা : প্রথমত এ রোগ সম্পর্কে রোগীর পূর্ণ ধারণা থাকা উচিত। যেহেতু এ রোগের প্রথম উপসর্গ ব্যথা এবং এই ব্যথা কোমর থেকে শুরু হয়ে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, ব্যথা এত তীব্র হয় যে ব্যথানাশক ওষুধ দিতে হয়। অনেক সময় শুধু ব্যথানাশক ট্যাবলেট নয়, ইনজেকশনেরও প্রয়োজন হয়। কিন্তু ওষুধ রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর। একটি ওষুধ আরেকটির চেয়ে আরো ভালো কাজ করতে পারে। চিকিৎসক যদি একটি ঔষধ প্রেসক্রাইব করেন, আপনি নিশ্চিত হয়ে নেবেন ঔষধটি কোন শ্রেণীর। (উদাহরণস্বরূপ, নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগ, টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাক্টর ইনহিবিটর) কীভাবে সেটা কাজ করে এবং কেন সেটা প্রেসক্রাইব করা হলো। এ রোগে যেহেতু দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন, সেহেতু এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না। কারণ, দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়াতে শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রোগে ফিজিওথেরাপি,
- ১) ব্যথা নিরাময়ে সহায়তা করে।
- ২) আক্রান্ত অস্থি সন্ধিগুলোর নড়নক্ষমতা সচল রাখে।
- ৩) মেরুদণ্ডের বাঁক ধরা প্রতিরোধ করে।
- ৪) কোমর থেকে ব্যথা পা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া থেকে প্রতিরোধ করে।
- ৫) রোগীর হাঁটাচলা সচল রাখতে সহায়তা করে।
- ৬) পুনরায় বিকৃতি হওয়া থেকে রোধ করে।
সবশেষে রোগী যেন তার দৈনন্দিন জীবনযাপনে সুস্থ হয়ে ফিরে আসে সেজন্য ফিজিওথেরাপি অভিনব ভূমিকা পালন করে। থেরাপিওটিক মডালিটিস: ফিজিওথেরাপিতে ইলেকট্রিক মোডালিটিস এর ব্যবহার অপরিহার্য যা রোগীর ব্যথা নিরাময়ে, ইনফ্লামেশন নিরাময়ে, রক্ত চলাচল রাখতে এবং রোগীর সুস্থতায় ইত্যাদিতে সহযোগিতা করে।
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস রোগের চিকিৎসায় যেসব মোডালিটিস ব্যবহার করা হয়:
১. আইস প্যাক: রোগের প্রাথমিক অবস্থায় আইস প্যাক এর ব্যবহার অপরিহার্য।
২. গরম পানির সেক: রোগের দীর্ঘস্থায়ী পর্যায়ে গরম পানির সেক ব্যথা নিরাময়ে খুবই উপকারী।
৩. আলট্রাসাউন্ড: আলট্রাসাউন্ড প্রয়োগে ব্যথা নিরাময় হয়, রক্ত চলাচল সচল হয়, শরীরের রোগ নিরাময় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে ইত্যাদি।
৪. TENS: TENS শরীরের এন্ডরফিন হরমোন উৎপাদন সহায়তা করে, মস্তিষ্কে ব্যথা সংকেত পৌছানো রোধ করে, ইনফ্লামেশন নিরাময় করে এবং কোমর থেকে পায়ে বা সারা শরীরে পৌছানো নার্ভ রুটের ব্যথা নিরাময়ে সহায়তা করে।
ম্যানুয়াল থেরাপি
স্পাইনাল ম্যানিপুলেশন, জয়েন্ট এর স্টাবিলিটি এবং মাংসপেশীর উন্নতির জন্য প্রয়োগ হয়।
ব্যায়াম:
১. কাফ মাসল স্ট্রেচিং: প্রথমে একটি দেয়ালের কোণে গিয়ে সামনে কিছুটা জায়গা রেখে এক পা সামনে এবং আরেক পা পিছনে দিয়ে দাড়াবেন। এরপর সামনের পা একটু ভাঁজ করে পিছনের পায়ের হাটু টানটান করে রাখবেন। এরপর দুইহাতে সামনের দেয়ালে ধাক্কা দিবেন। এতে পায়ের কাফ মাসলে টান অনুভব হবে।
২. উরুর সামনের মাংসপেশীর বা কোয়াড্রিসেপস মসল স্ট্রেচিংঃ প্রথমে সোজা হয়ে দাড়িয়ে যেকোনো এক পা ভাঁজ করে গোড়ালি নিতম্বে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। এতে উরুর সামনের মাংসপেশীতে টান অনুভব হবে।
৩. উরুর পিছনের মাংসপেশী বা হ্যামাস্ট্রিং মাসল স্ট্রেচিং: প্রথমে এক পা সোজা রেখে আরেক পা হাটু না ভেঙে সোজা করে একটি টুল বা বেঞ্চের উপর রাখতে হবে। এরপর হাত দিয়ে পায়ের পাতা ধরে নিজের দিকে টানতে হবে। এতে উরুর পিছনের মাংসপেশীতে টান লাগবে।
৪. কোবরা ব্যায়ামঃ প্রথমে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ অবস্থায় দুই হাতের উপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে মাথাও বুক উপরে তুলুন। খেয়াল রাখবেন পেট যেন বিছানায় বা ম্যাটে লাগানো থাকে। ৫ সেকেন্ড এভাবে থাকুন। ব্যায়ামটি এভাবে কমপক্ষে ১০বার করুন।
৫. প্লাঙ্ক ব্যায়াম: প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর হাত ও পা সোজা রেখে দুই হাতের উপর এবং দুই পায়ের পাতার সামনের অংশে ভর দিয়ে মাথা, বুক, পেট ও নিতম্ব বিছানা বা ম্যাট থেকে উপরে তুলতে হবে। এভাবে ৫ সেকেন্ড থাকতে হবে। ১০বার ব্যায়ামটি একইভাবে করতে হবে।
৬. নিতম্বের মাংসপেশীর ব্যায়ামঃ প্রথমে চিৎ হয়ে হাত ও পা সোজা রেখে শুতে হবে। এরপর এক পা ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে হাটু ধরে টেনে বিপরীত হাতের কাঁধের কাছে আনার চেষ্টা করতে হবে। এভাবে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। একইভাবে অপর পায়ে করতে হবে। ব্যায়ামটি এভাবে ১০ বার করতে হবে। এছাড়া আরো ব্যায়াম রয়েছে যা অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস রোগীদের জন্য কিছু সতর্কতাঃ
* অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস রোগীদের ভারি কাজ করা উচিত নয়। * এ সময় শরীরকে যথেষ্ট আরাম দিতে হবে। * আবার একবারেই কোন কাজ না করে শুয়ে থাকাও ঠিক নয়। এতে শরীরের অন্য অস্থি সন্ধিগুলোর নড়নক্ষমতা হ্রাস পাবে। * নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। * সঠিক নিয়ম মেনে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সর্বপরি, অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের কোন ভালো ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিতে হবে।